স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ পৈত্রিক সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি গ্রাম্য সালিশে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে একই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায় অনুযায়ী পৈত্রিক সম্পত্তিতে নিজেদের রোপিত গাছ কাটায় রোষানলে পরেছেন শাহীন ও মহসিন শাহরিয়ার নামের দুই সহদর। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধুরিয়াইল গ্রামের।
শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের মৃত মোঃ মজিবুর রহমানের পুত্র মহসিন শাহরিয়ার জানান, তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে বিভিন্ন প্রজাতের গাছের চারা রোপন করে তারা ভোগদখল করে আসছেন। সম্পতি সময়ে ওই সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে প্রতিবেশী হারুন-অর রশিদ ফকির গংদের। তারা ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে জবর দখল করে ভোগ করার চেষ্টা করেন। এনিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরধরে একাধিকবার উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক বসে। সর্বশেষ স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আমিনদ্বয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সম্পত্তিতে পিলার স্থাপন করে দিয়েছেন।
লিখিত সালিশ নামায় দেখা গেছে, বিরোধীয় সম্পত্তির পুরো অংশ শাহীন ও মহসিন শাহরিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি। সেমতে অতিসম্প্রতি ওই সম্পত্তির ওপর তাদের নিজেদের রোপিত গাছ বিক্রি করা হয়। এতে হারুন-অর রশিদ ফকির ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে শাহীন ও মহসিন শাহরিয়ারকে ফাঁসাতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এমনকি সালিশবৃন্দদের বিরুদ্ধেও এলাকায় নানা অপপ্রচার ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
গ্রাম্য মোড়ল খোকন হাওলাদার বলেন, উভয়পক্ষের আমিনদ্বয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সীমানা পিলার স্থাপন করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে শাহীন ও মহসিন শাহরিয়ার তাদের সম্পত্তিতে নিজেদের রোপিত গাছ বিক্রি করেছেন। এখানে কারো কিছুই করার নেই। তিনি আরও বলেন, কাগজের বাহিরে গিয়ে কারো পক্ষে রায় দেয়া সম্ভব নয়। হারুন ও ফাতেমা গংরা সালিশদের মাধ্যমে অসদউদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে।
Leave a Reply